কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি, স্ট্যাটাস

ইসলামে কন্যা সন্তানকে মহান মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে। কন্যা সন্তানকে সঠিকভাবে লালন-পালন করা, তাদের শিক্ষিত করা এবং তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করার জন্য ইসলামে অনেক উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কন্যা সন্তানকে ইসলামে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলাম পূর্ব যুগে আরব সমাজে কন্যা সন্তানকে অপমানজনক ভাবে দেখা হতো, এমনকি তাদের জীবিত অবস্থায় পুঁতে ফেলার মতো ভয়ানক কাজ করা হতো। ইসলাম এসে এসব কাজের কঠোর নিন্দা করেছে এবং কন্যা সন্তানকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে এসেছে।
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
কন্যা সন্তান জান্নাতের সুসংবাদ,নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করে, তাদের প্রতি সদয় হয় এবং তাদের প্রতি উত্তম আচরণ করে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন। (সহিহ বুখারি) কন্যা সন্তান পিতামাতার জন্য আশীর্বাদ হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কন্যা সন্তান জন্মের পর তাকে দুঃখ বা কষ্টের চোখে না দেখে, বরং তাকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করে, তার জন্য জান্নাত নির্ধারিত হয়েছে। (তিরমিজি)
কন্যা সন্তান হল জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার, যারা প্রতিদিন নতুন আলো নিয়ে আসে।
একটি কন্যা সন্তান ঘরের আলো, মায়ের স্নেহ ও বাবার গর্ব।
কন্যা সন্তান হল সেই ফুল, যার সুবাসে ভরে ওঠে একটি পরিবার।
কন্যা সন্তান হল সেই আশা, যাকে লালন করলে পৃথিবী আরো সুন্দর হয়।
একটি কন্যা সন্তান, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে আরও অর্থবহ করে তোলে।
কন্যা সন্তান মানেই দয়া, ভালোবাসা ও স্নেহের প্রতিচ্ছবি।
কন্যা সন্তান হল আশীর্বাদ, যার হাসিতে মিটে যায় সমস্ত ক্লান্তি।
“যার ঘরে কন্যা সন্তান আছে, তার হৃদয়ে সর্বদা ভালোবাসার জ্যোতি থাকে।
কন্যা সন্তান হল জীবনের সেই রত্ন, যার মূল্য পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
একটি কন্যা সন্তান মানেই পরিবারে অসীম আনন্দ ও মঙ্গলময়তা।
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
কন্যা সন্তান সম্পর্কে ইসলামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় উক্তি রয়েছে। এখানে ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হলো এগুলো।ইসলামের সেই দিক গুলো তুলে ধরে, যেখানে কন্যা সন্তানদের সম্মান ও যত্ন প্রদানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন
যার তিনটি কন্যা সন্তান থাকবে, এবং সে তাদের লালন-পালন করবে, তাদের সাথে দয়া ও ভালোবাসার সাথে আচরণ করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।
— (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন
“যার দুটি কন্যা সন্তান থাকবে এবং সে তাদের ভালোভাবে লালন-পালন করবে, তাদের অধিকার রক্ষা করবে, সেই ব্যক্তি জান্নাতে আমার সাথে এমন থাকবে (যেমন দুটি আঙুল একসাথে থাকে)।
— (মুসলিম, হাদিস: ২৬৩১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন
“কন্যা সন্তানকে অপমান বা অবহেলা না করে তাদের প্রতি মমতা ও যত্নবান হলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন।
— (আবু দাউদ, হাদিস: ৫১৪৭)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত
“যার তিনটি কন্যা সন্তান থাকবে এবং সে তাদের প্রতি ধৈর্য ধারণ করবে, তাদের সুন্দরভাবে লালন-পালন করবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করবে, সে ব্যক্তি নিশ্চিতভাবে জান্নাতে যাবে।
— (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৬৭০)
কন্যা সন্তানকে আল্লাহর দান হিসেবে বিবেচনা করার কথা উল্লেখ করে কোরআনে বলা হয়েছে:
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
— (সূরা আশ-শুরা, আয়াত: ৪৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন
যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা বা তিনটি বোনের লালন-পালন করবে এবং তাদের সঠিকভাবে দেখাশোনা করবে, তার জন্য জান্নাত বাধ্যতামূলক হবে। — (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১২)
ইসলামে বলা হয়েছে
যার এক কন্যা সন্তান থাকবে এবং সে তাকে লালন-পালন করবে এবং তার প্রতি সদয় আচরণ করবে, সে জান্নাত লাভ করবে। — (মুসলিম, হাদিস: ২৬৩২)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন
যে ব্যক্তি কন্যাদের লালন-পালন করবে এবং তাদের প্রতি সদয় আচরণ করবে, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতে প্রবেশ করবে। — (আবু দাউদ, হাদিস: ৫১৪৬)
ইসলামে কন্যাদের প্রতি সম্মান ও যত্নের গুরুত্ব
কন্যা সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হলে তারা জান্নাতের পথে পাথেয় হবে। — (তিরমিজি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন
যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানকে ভালোভাবে লালন-পালন করবে এবং তার প্রতি সদয় হবে, সে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট প্রিয়। — (বুখারি)
ইসলাম কন্যা সন্তানকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়েছে। কন্যা সন্তানের প্রতি বিশেষ স্নেহ, ভালোবাসা ও দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে অনেক হাদিস ও কোরআনের আয়াত রয়েছে। নিচে ইসলামিক উক্তি দেওয়া হলো, যা কন্যা সন্তানের বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।