মেয়েদের নাম দিয়ে মজার ছন্দ । Miader nam diye mojar chondo

মেয়েদের নাম দিয়ে মজার ছন্দ
মেয়েদের নাম পরিবারের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। অনেক সময় বাবা-মা তাদের সন্তানের মধ্যে যে গুণাবলি দেখতে চান, সেই অনুযায়ী নাম নির্বাচন করেন। যেমন, “প্রিয়া” মানে প্রিয় বা ভালোবাসার মানুষ, যা সন্তানের প্রতি পরিবারের ভালোবাসার প্রতিফলন।
মিতা বলে খাও লাড্ডু,
কবিতা বলল দাও গুড়।
পাশে দাঁড়ায় মিঠু-মনি,
সবাই চায় গরম রুটি।
রিতু পড়ে নতুন শাড়ি,
তৃষা বলে, দারুণ ভারি!
সুমা নিয়ে ফুলের মালা,
কাব্য করতে চায় যে বালা।
সোনিয়া গেল নদীর পাড়ে,
দীপা বলে, “বসে পড়ে!”
জুঁই বলে, “চলো ঘুরি,
নৌকায় ভাসাই সুরের সুরি।
তনু যখন হাঁটে রাস্তায়,
শিলা দেখে ভীষণ হাসে।
চাঁদনী বলে, “আমি চাঁদ,
আমার সাথে গাও গো গান!”
মায়া বলে, “চল কনক,
আজকে খাব গরম সন্দুক।
অঞ্জু এসে বলে হেসে,
রিয়া বলে, “আজ দেব বাটি,
খাবার পেলে, মাথায় চাটি!”
মিথিলা গেল বনে,
ফুল তুলতে গাছের কোণে।
মধুর গন্ধ পেল নাকে,
ঘুমিয়ে পড়ল ফুলের ঢাকে।
তানিয়া রান্না করে,
ঝোলটা মেলে হেঁশেল ভরে।
স্বাদ পায় না কেউই খেয়ে,
বলে, “তানিয়া, আর করিস কেন?”
সীমা বলে, “আমি জানি,
আকাশে থাকে একগাদা পানি।
বৃষ্টি হলেই সব পরে,
বাঁচাও আমাকে ভিজতে ঘরে!”
সৌমি গেছে বাজারে,
কেনাকাটা সব তার হাতে।
কাপড় কিনতে ভুল করে,
আনল চশমার নতুন জোড়া!
জেসি রান্না শিখতে চায়,
নুনের জায়গায় দিচ্ছে চা।
মজার খাবার হল কই?
জেসি বলে, “ব্যাপারই নাই!”
লাবণ্য খুঁজে সোনা,
মাটি খুঁড়তে গেলো গোনা।
সোনা না পেয়ে নিয়ে এল,
এক বাটি ভর্তি পোকা-তেল!
আয়েশা পছন্দ করে গান,
গাইতে গিয়ে ফেটে গেল জান!
পাশের বাসা বলে, “ওরে,
থাম থাম, লাগবে না শোরে!”
মালা সাজে রোজ সকালে,
কাজ ভুলে যায় শোবার তালে।
বলে সবাই, “মালা রানি,
স্বপ্ন দেখে কাটাও জানি!”
কুসুম বলে, “ঘুমই ভালো,
কাজ মানে বড় জ্বালা।”
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খায় সে সপ,
জেগে ওঠে তবেই টপ!
সর্বশেষে বলা যায়, মেয়েদের নাম শুধু তাদের পরিচয় নয়; এটি একটি পরিবার, সমাজ, এবং সময়ের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ। প্রতিটি নামের পেছনে থাকে ভালোবাসা, আশা এবং ঐতিহ্যের গল্প।