উক্তি

মেয়েদের প্রেমের ছন্দ কবিতা, ছেলেদের হাসির ছন্দ।

হাসির ছন্দ, ছেলে-মেয়েদের প্রেমের ছন্দ সবসময়ই বিনোদনের জন্য জনপ্রিয়। যদিও ছন্দ দেওয়া সম্ভব নয়, আমি কিছু মজার ও প্রেমের ছন্দ শেয়ার করছি যা আপনাকে মজা দেবে। শিক্ষক: “তোমার নাম কী?” ছাত্র: “আমার নাম পৃষ্ঠা, স্যার।” শিক্ষক: “এ কী রকম নাম?” ছাত্র: “স্যার, আমার বাবার নাম বই, তাই।দুই বন্ধু কথা বলছে: ১ম বন্ধু: আমি ইদানীং ঘুমাতে পারছি না।” ২য় বন্ধু: “কেন?” ১ম বন্ধু: “আমার ঘুমের মধ্যে শুধু টাকা গুনছি।

২য় বন্ধু: “তাহলে তো ভালো! ১ম বন্ধু: “কিন্তু সমস্যা হলো, টাকাগুলো অডিটে ভুল ধরছে।ডাক্তার: “আপনার কি কখনো ঘুমানোর সময় পা কাঁপে? রোগী: “হ্যাঁ, অনেক সময়!” ডাক্তার: “বয়স হয়েছে, পা মনে করিয়ে দেয় এখন নাচার বয়স শেষ।

হাসির ছন্দ:

১.
ছেলে: মিষ্টি মুখে হাসো না,
প্রেমে পড়ে যাবো!
মেয়ে: এমনিতে তো উঁচু গাছে,
পড়ে গিয়ে মারা যাবো!

২.
বসে বসে ভাবছি একা,
কীভাবে পাবো তোমার দেখা।
পড়লো মনে, ফেসবুক আছে,
তাতেই নাহয় হবে দেখা।

৩.
বন্ধু তুমি তাজা ফুল,
বদনাম করো না, সবটা ভুল।
ভালো করে মনে রাখো,
তুমি কিন্তু ডাঁটা মূল!

প্রেমের ছন্দ:

১.
তুমি আছো হৃদয় জুড়ে,
তোমায় নিয়ে আছি সুখে।
তুমি ছাড়া সবই ফাঁকা,
তুমি আমার মনের রাঁকা।

২.
দূর আকাশে উড়ছে পাখি,
তোমার চোখে প্রেমের আঁখি।
তোমার জন্য আমি শুধু,
জীবনটা দিলাম বিছিয়ে ধূসর বালিতে।

৩.
তোমায় দেখে মনের মাঝে,
জন্ম নিল প্রেমের আগুন।
তোমার হাসিতে সব রঙিন,
তোমায় ছাড়া আমি ফাঁকা রাহা।

ছেলেদের হাসির ছন্দ।

অবশ্যই! মজার কবিতা সবসময় আনন্দদায়ক এবং মনের ক্লান্তি দূর করে। নিচে কিছু মজার বাংলা কবিতা শেয়ার করছি যা আপনার মন ভালো করে দেবে।

এক গ্রামে বাস করতো ছোট্ট একটি ছেলে, যার নাম ছিলো মিঠু। সে ছিল খুবই কৌতূহলী, প্রতিদিন নতুন কিছু জানতে চাইতো। একদিন সকালে মিঠু গ্রামের মাঠে হাঁটতে বের হলো। হঠাৎ সে একটি ছোট্ট মাটির ঢিবি দেখতে পেল। তার মন ভরে গেল কৌতূহলে—ঢিবিটার নিচে কী আছে?

মিঠু তার বন্ধু টুনটুনিকে ডাকলো এবং বললো, “চলো দেখি ঢিবির নিচে কী আছে।” তারা দুজন মিলে খনন করতে শুরু করলো। একটু খোঁড়ার পরই হঠাৎ তারা একটি ছোট্ট সোনার বাক্স পেল। খুবই উত্তেজিত হয়ে তারা বাক্সটা খুলে দেখলো ভেতরে আছে একখানা চিঠি। চিঠিতে লেখা, “সুখের চাবি তোমাদেরই হাতে, কিন্তু তোমরা একে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিখবে কিভাবে?”

তারা বুঝলো, এটি কোনো ধাঁধা। মিঠু আর টুনটুনি ভাবতে শুরু করলো, সুখের চাবি মানে কী হতে পারে? সারা দিন তারা চেষ্টা করলো এর অর্থ বের করার জন্য। অবশেষে টুনটুনি বললো, “মিঠু, আমি মনে করি সুখের চাবি হলো ভালো কাজ করা, অন্যদের সাহায্য করা।” মিঠু এতে একমত হলো।

১. খিচুড়ি

একবার হলো বৃষ্টি,
পড়লো সবার দৃষ্টি।
মা তখন হাঁড়ি চড়ালেন,
বসিয়ে দিলেন খিচুড়ি।

বাবা বললেন, “সাথে চাই মাংস,
মা বললেন, “পোড়াবে শাঁস!
ছেলে বললো, “আলু চাই,”
মেয়ে বললো, “ডিমটাও খাই।

বাড়ির বউ বললো, “গরম গরম,
আমিই সবার আগে খাব!”
সবাই মিলে ঝগড়া করে,
খিচুড়ি হলো হাপিস সবে।

২. হাতির দাঁত

একটি হাতি এল ময়দানে,
সবাই তখন দাড়ায় পানে।
একজন বলে, “দাঁত তো আছে,
কিন্তু খায় যে মায়ের হাতে !

দেখে সবাই হেসে ওঠে,
হাতির তো মাথা ঘুরে।
বেচারা হাতি কাঁদলো শেষে,
“আমার দাঁত দাও ফিরে !

৩. জুতো

একবার হলো বিয়ে,
জুতোটা গেলো হারিয়ে।
বর তখন কাঁদতে কাঁদতে,
বললো, “জুতো কি দিয়েছে মাটিতে?”

বন্ধুরা সব হাসে দেখে,
বরের জুতো গেলো ঠেকে।
কনে বলে, “জুতোটা নাও,
দিয়ে দাও তো লুচি খাও!”

৪. পাকা আম

আম গাছের তলায় বসে,
ছেলে মজা করে খায়।
পাকা আম পড়লো মাথায়,
হঠাৎ ছেলেটি কাঁদতে চায়।

“মাথায় কেন পড়লো আম?
বললো, “গাছটা নেই তো নাম!
গাছের কাছে গিয়ে কাঁদলো ছুটি,
গাছ বললো, “আম, বাপের মুটি ।

৫. বেড়ালটা মোটা

একটি বেড়াল হলো মোটা,
খেতে বসলো দুইখানা রুটি।
মাছের ভয়ে থালা ছাড়লো,
বললো, “এটা তো মাছের ছুটি !

বন্ধুরা সব হাসছে দেখে,
বেড়াল বলে, “যাই যে ঠেকে!
বেচারা তাই বসলো আবার,
বলো, “আজ তো হলাম হারা !

টমের টেবিল, টুলের টান
বসে খায় সব সময় পান।
পান খেতে গিয়ে পড়ে যায় ধপ
উঠতে গিয়ে লাগে ঠক ঠক ঠক!

বললো টম, “এটা কী হলো?”
টুল হাসে বলে, “আমি জানি না!”
টম তো তখন রেগে যায়
তুলে নিয়ে আবার বসে যায়।

তারা এরপর থেকে গ্রামে সবাইকে সাহায্য করতে শুরু করলো। কখনো কারো ভারী বোঝা বহন করতো, কখনো বয়স্কদের গল্প শোনাতো। ধীরে ধীরে তারা বুঝলো, মানুষকে খুশি করার মধ্যেই আসল সুখ লুকিয়ে আছে। তাদের ছোট্ট গ্রামটি ধীরে ধীরে আরও সুন্দর হয়ে উঠলো, কারণ সবাই একে অপরকে সাহায্য করতে শুরু করলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *